কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ তিস্তায় পানি প্রবাহ না থাকায় দেশে প্রতিবছর ১৫ লক্ষ মেট্রিকটন চাল উৎপাদন কম হচ্ছে। যে কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তিস্তাকে জীবিত করতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে হবে। উৎপাদন না হলে কোন উন্নয়ন হবেনা। উন্নয়নের রাজনীতির পাশাপাশি উৎপাদনের রাজনীতি করতে হবে। তারেক রহমান সাহেব তিস্তার মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষকে জাগ্রত করেছে। দেশের মানুষকে বাদ দিয়ে কোন সরকারই কোন কিছুই করতে পারে নাই। কুড়িগ্রামের উলিপুরে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে থেতরাই ইউনিয়নের তিস্তা নদীর বামতীরে জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের বিশাল জনসমাবেশে ৪৮ ঘন্টার কর্মসুচির সমাপনি দিনে এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, বিগত বছরের ফ্যসিষ্ট হাসিনা সরকারের সাথে দেশের কোন মানুষ ছিলো না। তাই তারা রহিঙ্গা, তিস্তা ও পার্বত্য চট্টগ্রামের কোন সমস্যা সমাধান করতে পারে নাই পারার কথাও না। তাই দেশের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগীতা ও মনোবল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা সকল সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারকে আলোচনায় শক্তি জোগায়। এই তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন আমাকে মনে করিয়ে দেয় দেশনেত্রীর কথা। দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও এখন আমি বলছি তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও। কারণ নদী হচ্ছে বাংলাদেশের প্রাণ শক্তি। আজকের বাংলাদেশ যে গড়ে উঠেছে তা নদী ব্যতীত কোন সময় সভ্যতা গড়ে উঠে নাই। “জাগো বাহে তিস্তা বাচাই” এই স্লোগানটি সারা বাংলাদেশের নদী বাঁচানো আন্দোলনের স্লোগান হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে ভিন্ন বাংলাদেশ।
উপজেলা সমন্বয়ক হায়দার আলী মিঞার সভাপতিত্বে ও ওবায়দুর রহমান বুলবুলের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম বেবু, হাসিবুর রহমান হাসিব, সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ প্রমুখ। পরে বিকালে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এদিকে সোমবার সারারাত সমাবেশ স্থলে রাত্রীযাপন করে হাজারো মানুষ। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করেন আয়োজক কমিটি। রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলায় ১১টি স্থানে ১৭ ও ১৮ ফেব্রয়ারি ৪৮ ঘন্টা লাগাতার কর্মসূচী পালন করছে এই এলাকার দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষ। মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত এই আন্দোলনের দাবীতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য, কবিতা আবৃতি ও সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মূখরীত করেন।